
উড়োজাহাজের চাকা খুলে পড়ার তদন্তে বের হলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে আসার সময় উড়োজাহাজের এক চাকা (বাঁ পাশের ল্যান্ডিং গিয়ার) খুলে পড়ে যাওয়ার ঘটনার পেছনে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের গাফিলতি দেখেছেন এভিয়েশনসংশ্লিষ্টরা।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে বিমানের প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, ফ্লাইট শুরুর আগে নিয়ম অনুযায়ী উড়োজাহাজ ইন্সপেকশন করা হয়। এটা রুটিন ওয়ার্ক। এ ছাড়া উড়োজাহাজের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করতে হয়।
কিন্তু গত দেড় বছর ধরে এই এই ফ্লাইটের ল্যান্ডিং গিয়ার রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়নি। এ কারণে ল্যান্ডিং গিয়ারে থাকা গ্রিজ শুকিয়ে যাওয়ার কারণে উড়োজাহাজ উড্ডয়নের সময় চাকা খুলে পড়ে। উড়োজাহাজ উড্ডয়ন ও অবতরণের সময় ল্যান্ডিং গিয়ারের ওপর প্রচণ্ড চাপ পড়ে।বিমান বাংলাদেশ সূত্রে জানা গেছে, ম্যানুফেকচারার কম্পানির নির্দেশনা অনুযায়ী ল্যান্ডি গিয়ার ৬ মাস পর পর মেইন্টেন্যান্স করার কথা।কিন্তু তা করা হয়নি।
এভিয়েশনসংশ্লিষ্টরা বলছেন, একটা ল্যান্ডিং গিয়ার কতগুলো ফ্লাইট ল্যান্ডিং এবং উড্ডয়ন করতে পারবে তা নির্দিষ্ট করা আছে। এরপর গিয়ার পরিবর্তন করতে হয়। এ ছাড়া নির্দেশনা অনুযায়ী রক্ষণাবেক্ষণ করতে হয়।
প্রতিটি উড়োজাহাজ ফ্লাই করার আগে ইন্সপেকশন করা হয়। ইন্সপেকশন করেন একজন লাইসেন্সপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার। এই উড়োজাহাজটিও উড্ডয়নের আগে ইন্সপেকশন করে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। এত সহজেই এটি খুলে পড়ার কথা না। এই ঘটনার পেছনে সেই ইঞ্জিনিয়ার এবং বিমানের ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের দায় রয়েছে।তথ্যানুযায়ী, উড়োজাহাজটি একই দিন সিলেট রুটেও চলাচল করে। কক্সবাজার-ঢাকা রুটে চলাচল করার আগে উড়োজাহাজটির মেইনটেনেন্স লগ বইতে ইন্সপেকশন করে ‘‘সকল হুইল কন্ডিশন এবং সিকিউরিটি সেটিসফ্যাকটরি’’ লেখা হয়েছে। উড়োজাহাজটি