, মঙ্গলবার, ০৫ আগস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ফুলবাড়ীতে দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা প্রত্যাহারের পাঁচ দফা দাবিতে উত্তাল ছাত্র-জনতা গোয়ালন্দে হোসাইন ইয়ুথ ফাউন্ডেশন আয়োজিত প্রীতি ফুটবল ম‍্যাচে পাবনা নগরবাড়ী জয়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-আসনের সীমানা পুর্নবিন্যাসের প্রতিবাদে বিজয়নগরে জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ মিছিল- মহাসড়ক অবরোধ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় বাঞ্ছারামপুরে আলোচিত শাহিনুর হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন আদালত চত্বরে ডিম নিক্ষেপের ঘটনায় ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মী আটক সরাইলে ছিনতাইকারীদের হামলায় ব্যবসায়ী নিহত আলীকদমে পিআইও’র বিরুদ্ধে বিল আটকে রাখার অভিযোগে চেয়ারম্যান-মেম্বারদের ঘেরাও কর্মসূচি জাতীয় মাদকবিরোধী অভিযানে চকরিয়ায় ১০ জন গ্রেপ্তার, মোবাইল কোর্টে কারাদণ্ড টেকনাফে ভয়ংকর অস্ত্রভাণ্ডারসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী ‘শফি ডাকাত’ গ্রেপ্তার

পুলিশের গুলিতে ‘আর্মি’ হতে চাওয়া জাবিরের মৃত্যু

  • প্রকাশের সময় : ০১:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫
  • ৫৪ পড়া হয়েছে

পুলিশের গুলিতে ‘আর্মি’ হতে চাওয়া জাবিরের মৃত্যু

কিছু বুঝে, অথবা কিছু না বুঝেই একটি অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে চেয়েছিল সে। এ কারণেই মাত্র ছয় বছর বয়সে জীবন দিতে হলো শিশু জাবির ইব্রাহিমের। গত বছর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিজের পরিবারের চোখের সামনে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারায় ছোট্ট জাবির।
গত বছরের ৫ আগস্ট সকালবেলা বাবার সামনে একটি হেলমেট পরে হাজির হয় জাবির। বলে, ‘আমি আর্মি অফিসার হব।’ বাবা জিজ্ঞেস করেন, ‘কেন?’ জবাবে জাবির বলে, ‘পুলিশ আমার ভাই-বোনদের গুলি করে মারছে। আমি আর্মি হয়ে পুলিশকে মারব।’
সেদিন দুপুরে মা রোকেয়া বেগম (৪২), বড় বোন জুবাইনা কবির নেহা (২১), ভাই জুবায়ের মাহতাব আবদুল্লাহ (১১) ও ছোট্ট জাবিরকে নিয়ে উত্তরায় বিজয়োল্লাসে যোগ দেন বাবা কবির হোসেন (৫৩)।
সেদিন ‘ফ্যাসিবাদী সরকার পালিয়েছে’ এমন খবরে রাজপথে চলছিল আনন্দ মিছিল, উল্লাসে মেতেছিল হাজারো মানুষ। শিশু জাবিরও ছিল সেই উদযাপনের এক প্রাণবন্ত অংশ।
পুলিশের গুলিতে খেলা থামে শিশু রিয়ার বাবা কবির হোসেন জানান, ‘সন্ধ্যার দিকে আমরা একটি সেতুর উপর ছিলাম। হঠাৎ গুলির শব্দ শুনে সবাই দৌড়াতে থাকে। আমি জাবিরের ডান হাত ধরে ছিলাম। তখন একটি গুলি এসে তার পায়ে লাগে। কিছুদূর যাওয়ার পর সে নিস্তেজ হয়ে পড়ে।’
জাবিরকে প্রথমে কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকের অবহেলার অভিযোগ করেন পরিবার। পরে ঢাকা স্পেশালাইজড হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা জাবিরকে মৃত ঘোষণা করেন।
শহীদ জাবির ইব্রাহিমের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের তুলাই শিমুল গ্রামে। তবে তারা ঢাকার উত্তরা এলাকায় বসবাস করতেন। পিতা কবির হোসেন সেখানে ব্যবসা করেন। জাবির পড়ত উত্তরা কেসি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নার্সারি বিভাগে। তিন ভাইবোনের মধ্যে সে ছিল সবার ছোট।

ফুলবাড়ীতে দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা প্রত্যাহারের পাঁচ দফা দাবিতে উত্তাল ছাত্র-জনতা

পুলিশের গুলিতে ‘আর্মি’ হতে চাওয়া জাবিরের মৃত্যু

প্রকাশের সময় : ০১:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫

পুলিশের গুলিতে ‘আর্মি’ হতে চাওয়া জাবিরের মৃত্যু

কিছু বুঝে, অথবা কিছু না বুঝেই একটি অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে চেয়েছিল সে। এ কারণেই মাত্র ছয় বছর বয়সে জীবন দিতে হলো শিশু জাবির ইব্রাহিমের। গত বছর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিজের পরিবারের চোখের সামনে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারায় ছোট্ট জাবির।
গত বছরের ৫ আগস্ট সকালবেলা বাবার সামনে একটি হেলমেট পরে হাজির হয় জাবির। বলে, ‘আমি আর্মি অফিসার হব।’ বাবা জিজ্ঞেস করেন, ‘কেন?’ জবাবে জাবির বলে, ‘পুলিশ আমার ভাই-বোনদের গুলি করে মারছে। আমি আর্মি হয়ে পুলিশকে মারব।’
সেদিন দুপুরে মা রোকেয়া বেগম (৪২), বড় বোন জুবাইনা কবির নেহা (২১), ভাই জুবায়ের মাহতাব আবদুল্লাহ (১১) ও ছোট্ট জাবিরকে নিয়ে উত্তরায় বিজয়োল্লাসে যোগ দেন বাবা কবির হোসেন (৫৩)।
সেদিন ‘ফ্যাসিবাদী সরকার পালিয়েছে’ এমন খবরে রাজপথে চলছিল আনন্দ মিছিল, উল্লাসে মেতেছিল হাজারো মানুষ। শিশু জাবিরও ছিল সেই উদযাপনের এক প্রাণবন্ত অংশ।
পুলিশের গুলিতে খেলা থামে শিশু রিয়ার বাবা কবির হোসেন জানান, ‘সন্ধ্যার দিকে আমরা একটি সেতুর উপর ছিলাম। হঠাৎ গুলির শব্দ শুনে সবাই দৌড়াতে থাকে। আমি জাবিরের ডান হাত ধরে ছিলাম। তখন একটি গুলি এসে তার পায়ে লাগে। কিছুদূর যাওয়ার পর সে নিস্তেজ হয়ে পড়ে।’
জাবিরকে প্রথমে কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকের অবহেলার অভিযোগ করেন পরিবার। পরে ঢাকা স্পেশালাইজড হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা জাবিরকে মৃত ঘোষণা করেন।
শহীদ জাবির ইব্রাহিমের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের তুলাই শিমুল গ্রামে। তবে তারা ঢাকার উত্তরা এলাকায় বসবাস করতেন। পিতা কবির হোসেন সেখানে ব্যবসা করেন। জাবির পড়ত উত্তরা কেসি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নার্সারি বিভাগে। তিন ভাইবোনের মধ্যে সে ছিল সবার ছোট।