, মঙ্গলবার, ০৫ আগস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ফুলবাড়ীতে দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা প্রত্যাহারের পাঁচ দফা দাবিতে উত্তাল ছাত্র-জনতা গোয়ালন্দে হোসাইন ইয়ুথ ফাউন্ডেশন আয়োজিত প্রীতি ফুটবল ম‍্যাচে পাবনা নগরবাড়ী জয়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-আসনের সীমানা পুর্নবিন্যাসের প্রতিবাদে বিজয়নগরে জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ মিছিল- মহাসড়ক অবরোধ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় বাঞ্ছারামপুরে আলোচিত শাহিনুর হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন আদালত চত্বরে ডিম নিক্ষেপের ঘটনায় ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মী আটক সরাইলে ছিনতাইকারীদের হামলায় ব্যবসায়ী নিহত আলীকদমে পিআইও’র বিরুদ্ধে বিল আটকে রাখার অভিযোগে চেয়ারম্যান-মেম্বারদের ঘেরাও কর্মসূচি জাতীয় মাদকবিরোধী অভিযানে চকরিয়ায় ১০ জন গ্রেপ্তার, মোবাইল কোর্টে কারাদণ্ড টেকনাফে ভয়ংকর অস্ত্রভাণ্ডারসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী ‘শফি ডাকাত’ গ্রেপ্তার

স্বামীর ‘কসম’ রাখতে ৬০ বছর ভাত খাননি জাহানারা বেগম

স্বামীর ‘কসম’ রাখতে ৬০ বছর ভাত খাননি জাহানারা বেগম

স্বামীর দেওয়া একটি ‘কসম’ রাখতে প্রায় ৬০ বছর ধরে ভাত খান না জাহানারা বেগম নামের এক ৭৫ বছরের বৃদ্ধা। প্রায় অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে ভাতের পরিবর্তে রুটি, বিস্কুটসহ অন্যান্য খাবার খেয়ে বেঁচে দিন যাপন করছেন।দুই সন্তানের মা জাহানারা বেগম ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা গোবিন্দ নগর মুন্সির হাট এলাকার বাসিন্দা। তিনি একই এলাকার হাফিজুর রহমানের স্ত্রী।
এলাকাবাসী ও পরিবার বলছে, মাত্র ১১ বছর বয়সে জাহানারা বেগমের বিয়ে হয় একই এলাকার হাফিজুর রহমানের সঙ্গে। বিয়ের বছরখানেকের মধ্যেই জন্ম নেয় প্রথম সন্তান। দুই বছর পর আরও একজন। দুই সন্তান নিয়ে বেশ সুখে চলছিল তাদের দাম্পত্য জীবন। হঠাৎ একদিন পারিবারিক কলহ বাঁধে এই দম্পতির। কলহের একপর্যায়ের স্বামী হাফিজুর রাগান্বিত হয়ে তাকে বলেন, ‘তুই যদি আমার বাড়ির ভাত খাস তাহলে তোর দুই সন্তানের মাথা খাবি’। পরবর্তীতে বিবাদ মিটে গেলেও সেদিনের পর থেকে জাহানারা বেগম আর কখনো ভাত মুখে তোলেননি। ৬ বছর আগে স্বামী হাফিজুর রহমানের বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যু হয়। তবে স্বামীর প্রতি নেই ক্ষোভ, অভিমান।জাহানরা বেগম বলেন, ‘স্বামীর কসম দেওয়ার পর ভয়ে ছিলাম এই ভেবে যে, ভাত খেলে সন্তানদের যদি বড় কোনো বিপদ হয় বা ক্ষতি হয়। ঘটনার ওই দিনের পর থেকে বিস্কুট, চা, রুটি এ সব খেয়ে থাকি। সংসার জীবনে তো অনেক কিছুই হয়। মানুষটার (স্বামী) জন্য এখন খুব কষ্ট হয়। আমাকে একা রেখে চলে গেল!’
জাহানারা বেগমের বড় ছেলে সিদ্দিকুল ইসলাম বলেন, ‘পরিবারের সবাই অনেক চেষ্টা করেও মাকে ভাত খাওয়াতে পারিনি। বাসায় বিভিন্ন সময় অনুষ্ঠানে আয়োজন হয়, সেখানে মাকে ছাড়া খেতে কষ্ট হয়।’
প্রতিবেশী অজিফা বেগম বলেন, ‘ওই ঘটনার পর তার স্বামীসহ আমরা অনেক চেষ্টা করেও তাঁকে খাওয়াতে পারিনি। তাঁর বিশ্বাস সে যদি ভাত খায় তাহলে তাঁর সন্তান ও তার নিজের ক্ষতি হতে পারে। এ কারণে সে আর কোনো দিন ভাত খাননি।’

ফুলবাড়ীতে দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা প্রত্যাহারের পাঁচ দফা দাবিতে উত্তাল ছাত্র-জনতা

স্বামীর ‘কসম’ রাখতে ৬০ বছর ভাত খাননি জাহানারা বেগম

প্রকাশের সময় : ০৫:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

স্বামীর ‘কসম’ রাখতে ৬০ বছর ভাত খাননি জাহানারা বেগম

স্বামীর দেওয়া একটি ‘কসম’ রাখতে প্রায় ৬০ বছর ধরে ভাত খান না জাহানারা বেগম নামের এক ৭৫ বছরের বৃদ্ধা। প্রায় অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে ভাতের পরিবর্তে রুটি, বিস্কুটসহ অন্যান্য খাবার খেয়ে বেঁচে দিন যাপন করছেন।দুই সন্তানের মা জাহানারা বেগম ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা গোবিন্দ নগর মুন্সির হাট এলাকার বাসিন্দা। তিনি একই এলাকার হাফিজুর রহমানের স্ত্রী।
এলাকাবাসী ও পরিবার বলছে, মাত্র ১১ বছর বয়সে জাহানারা বেগমের বিয়ে হয় একই এলাকার হাফিজুর রহমানের সঙ্গে। বিয়ের বছরখানেকের মধ্যেই জন্ম নেয় প্রথম সন্তান। দুই বছর পর আরও একজন। দুই সন্তান নিয়ে বেশ সুখে চলছিল তাদের দাম্পত্য জীবন। হঠাৎ একদিন পারিবারিক কলহ বাঁধে এই দম্পতির। কলহের একপর্যায়ের স্বামী হাফিজুর রাগান্বিত হয়ে তাকে বলেন, ‘তুই যদি আমার বাড়ির ভাত খাস তাহলে তোর দুই সন্তানের মাথা খাবি’। পরবর্তীতে বিবাদ মিটে গেলেও সেদিনের পর থেকে জাহানারা বেগম আর কখনো ভাত মুখে তোলেননি। ৬ বছর আগে স্বামী হাফিজুর রহমানের বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যু হয়। তবে স্বামীর প্রতি নেই ক্ষোভ, অভিমান।জাহানরা বেগম বলেন, ‘স্বামীর কসম দেওয়ার পর ভয়ে ছিলাম এই ভেবে যে, ভাত খেলে সন্তানদের যদি বড় কোনো বিপদ হয় বা ক্ষতি হয়। ঘটনার ওই দিনের পর থেকে বিস্কুট, চা, রুটি এ সব খেয়ে থাকি। সংসার জীবনে তো অনেক কিছুই হয়। মানুষটার (স্বামী) জন্য এখন খুব কষ্ট হয়। আমাকে একা রেখে চলে গেল!’
জাহানারা বেগমের বড় ছেলে সিদ্দিকুল ইসলাম বলেন, ‘পরিবারের সবাই অনেক চেষ্টা করেও মাকে ভাত খাওয়াতে পারিনি। বাসায় বিভিন্ন সময় অনুষ্ঠানে আয়োজন হয়, সেখানে মাকে ছাড়া খেতে কষ্ট হয়।’
প্রতিবেশী অজিফা বেগম বলেন, ‘ওই ঘটনার পর তার স্বামীসহ আমরা অনেক চেষ্টা করেও তাঁকে খাওয়াতে পারিনি। তাঁর বিশ্বাস সে যদি ভাত খায় তাহলে তাঁর সন্তান ও তার নিজের ক্ষতি হতে পারে। এ কারণে সে আর কোনো দিন ভাত খাননি।’