, বুধবার, ০৬ আগস্ট ২০২৫, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ফুলবাড়ীতে দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা প্রত্যাহারের পাঁচ দফা দাবিতে উত্তাল ছাত্র-জনতা গোয়ালন্দে হোসাইন ইয়ুথ ফাউন্ডেশন আয়োজিত প্রীতি ফুটবল ম‍্যাচে পাবনা নগরবাড়ী জয়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-আসনের সীমানা পুর্নবিন্যাসের প্রতিবাদে বিজয়নগরে জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ মিছিল- মহাসড়ক অবরোধ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় বাঞ্ছারামপুরে আলোচিত শাহিনুর হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন আদালত চত্বরে ডিম নিক্ষেপের ঘটনায় ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মী আটক সরাইলে ছিনতাইকারীদের হামলায় ব্যবসায়ী নিহত আলীকদমে পিআইও’র বিরুদ্ধে বিল আটকে রাখার অভিযোগে চেয়ারম্যান-মেম্বারদের ঘেরাও কর্মসূচি জাতীয় মাদকবিরোধী অভিযানে চকরিয়ায় ১০ জন গ্রেপ্তার, মোবাইল কোর্টে কারাদণ্ড টেকনাফে ভয়ংকর অস্ত্রভাণ্ডারসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী ‘শফি ডাকাত’ গ্রেপ্তার

কক্সবাজার শহরে পরিত্যক্ত ভবন পুনঃব্যবহার: পুরনো রাজনৈতিক অফিস এখন পৌর স্বাস্থ্যকেন্দ্র

  • প্রকাশের সময় : ০৭:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
  • ৪০ পড়া হয়েছে

কক্সবাজার শহরে পরিত্যক্ত ভবন পুনঃব্যবহার: পুরনো রাজনৈতিক অফিস এখন পৌর স্বাস্থ্যকেন্দ্র

কক্সবাজার পৌরসভা শহরের লালদীঘি পাড়ের এক পরিত্যক্ত ভবনকে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে অচল থাকা ভবনটির সামনে ও পেছনে ইতোমধ্যে “পৌর স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র” নামে সাইনবোর্ড টাঙানো হয়েছে।
জানা গেছে, পূর্ব লালদীঘি পাড়ে অবস্থিত এই ভবনটি একসময় একটি রাজনৈতিক দলের জেলা অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হতো। ২০২১ সালে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক) শহরের তিনটি পুকুর সংস্কার করে তা পৌরসভার কাছে হস্তান্তর করে। সংস্কারের সময় ঐ এলাকায় একটি মসজিদ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অফিস এবং অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণ করা হয়।
পরে রাজনৈতিক অস্থিরতার এক পর্বে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট, ভবনটির আসবাবপত্র, দরজা ও জানালায় আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে জানা যায়। এরপর থেকে ভবনটি দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল এবং স্থানীয়দের অভিযোগ—এটি মাদকসেবীদের আড্ডাস্থলে পরিণত হয়।
এ অবস্থায় ভবনটির যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নেয় পৌরসভা। কক্সবাজার পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা সায়েদুল হক আজাদ বলেন, “পৌরসভা বর্তমানে স্থান সংকটে রয়েছে। স্বাস্থ্যসেবার জন্য উপযুক্ত স্থান খুঁজতে গিয়ে পরিত্যক্ত এই ভবনটি কাজে লাগানো হয়েছে। এতে নাগরিকদের সেবা দেওয়া সহজ হবে।”
তিনি আরও জানান, এ সিদ্ধান্তটি পৌর পরিষদের সভায় গৃহীত হয় এবং স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের কাছে আরও সহজলভ্য করতে এটি একটি কার্যকর পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, শহরের স্বাস্থ্যসেবায় এমন উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসনীয়, তবে ভবিষ্যতে এই ভবনটি যেন কোনো রাজনৈতিক বিতর্কে না জড়ায়, সেই বিষয়ে পৌর কর্তৃপক্ষকে সচেতন থাকতে হবে।

ফুলবাড়ীতে দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা প্রত্যাহারের পাঁচ দফা দাবিতে উত্তাল ছাত্র-জনতা

কক্সবাজার শহরে পরিত্যক্ত ভবন পুনঃব্যবহার: পুরনো রাজনৈতিক অফিস এখন পৌর স্বাস্থ্যকেন্দ্র

প্রকাশের সময় : ০৭:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

কক্সবাজার শহরে পরিত্যক্ত ভবন পুনঃব্যবহার: পুরনো রাজনৈতিক অফিস এখন পৌর স্বাস্থ্যকেন্দ্র

কক্সবাজার পৌরসভা শহরের লালদীঘি পাড়ের এক পরিত্যক্ত ভবনকে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে অচল থাকা ভবনটির সামনে ও পেছনে ইতোমধ্যে “পৌর স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র” নামে সাইনবোর্ড টাঙানো হয়েছে।
জানা গেছে, পূর্ব লালদীঘি পাড়ে অবস্থিত এই ভবনটি একসময় একটি রাজনৈতিক দলের জেলা অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হতো। ২০২১ সালে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক) শহরের তিনটি পুকুর সংস্কার করে তা পৌরসভার কাছে হস্তান্তর করে। সংস্কারের সময় ঐ এলাকায় একটি মসজিদ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অফিস এবং অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণ করা হয়।
পরে রাজনৈতিক অস্থিরতার এক পর্বে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট, ভবনটির আসবাবপত্র, দরজা ও জানালায় আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে জানা যায়। এরপর থেকে ভবনটি দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল এবং স্থানীয়দের অভিযোগ—এটি মাদকসেবীদের আড্ডাস্থলে পরিণত হয়।
এ অবস্থায় ভবনটির যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নেয় পৌরসভা। কক্সবাজার পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা সায়েদুল হক আজাদ বলেন, “পৌরসভা বর্তমানে স্থান সংকটে রয়েছে। স্বাস্থ্যসেবার জন্য উপযুক্ত স্থান খুঁজতে গিয়ে পরিত্যক্ত এই ভবনটি কাজে লাগানো হয়েছে। এতে নাগরিকদের সেবা দেওয়া সহজ হবে।”
তিনি আরও জানান, এ সিদ্ধান্তটি পৌর পরিষদের সভায় গৃহীত হয় এবং স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের কাছে আরও সহজলভ্য করতে এটি একটি কার্যকর পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, শহরের স্বাস্থ্যসেবায় এমন উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসনীয়, তবে ভবিষ্যতে এই ভবনটি যেন কোনো রাজনৈতিক বিতর্কে না জড়ায়, সেই বিষয়ে পৌর কর্তৃপক্ষকে সচেতন থাকতে হবে।