
শেরপুরে ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে নবজাতকন্যা চুরি
শেরপুর পৌর এলাকার বটতলাস্থ বেসরকারী ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে চার দিন বয়সী এক কন্যা শিশু চুরির ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। আর এ ঘটনায় শিশুটির পিতা-মাতা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলাকে দায়ী করে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন।
ভূক্তভোগী শিশুর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, পৌর এলাকার চাপাতলী মহল্লার গোশত ব্যবসায়ী মো: ফিরোজ মিয়ার স্ত্রী কে সিজারিয়ান অপারেশন করার জন্য ২৫ জুন বুধবার বিকেলে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং যথারীতি ওই রাতেই ফিরোজ মিয়ার স্ত্রী আবেদা সিজারের মাধ্যমে একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন৷ তখন থেকেই ফিরোজের মাসহ তার দুজন আত্মীয় তাদের সাথে অবস্থান করছিলো। ঘটনাক্রমে একজন অজ্ঞাত মহিলা তাদের সাথে সখ্যতা তৈরী করে। সে বলে তার এক আত্মীয় এই হাসপাতালে ভর্তি আছে এবং গত শুক্রবার থেকে তাদের রুমে নানা উসিলায় অবস্থান করতে থাকে।
পরে ২৮ জুন শনিবার সকাল সাড়ে ৯ টায় শিশুটির মা বাথরুমে গেলে এবং একই সময় অন্য স্বজনরা বাইরে থাকার সুযোগে ওই মহিলা বোরখা পরে নবজাতক শিশুটিকে নিয়ে পলায়ন করে।
ঘটনার পর ওই কক্ষের সামনের সিসিটিভি ক্যামেরা নষ্ট ছিলো বলে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের সন্দেহ আরও বেড়ে যায়। তারা অভিযোগ করেন এ ঘটনার সাথে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের যোগসাজস রয়েছে। পরে বাইরের একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা যায় বোরখা পরিহিত ওই মহিলা শিশুটিকে নিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করছে।
এ ঘটনার পর শিশুটির মা-বাবাকে হাসপাতালে তীব্র আর্তনাদ করতে দেখা যায়। পরে শিশুটির পিতা ফিরোজ মিয়া জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমার মেয়েকে উদ্ধারের ব্যবস্থা না করলে আমি আইনি পদক্ষেপ নিবো।
এ ঘটনায় হাসপাতালের পরিচালক দিদারুল ইসলাম দিদার জানান, অজ্ঞাতনামা মহিলাটি তাদের রুমে অবস্থান করছে এরকম কোন অভিযোগ তারা আমাদের কাছে করেননি। তবে এ ঘটনায় আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।
এঘটনায় শেরপুর জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান ভূঁইয়া এ ব্যাপারে শেরপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জুবায়দুল আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তদন্ত করে আইনের প্রক্রিয়া ব্যবস্থা গ্রহণ করাবে।