
টেকনাফের এনসিপি সংগঠক সায়েম সিকদারের বাড়িতে স্বশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় নামীয় ৯জন এবং অজ্ঞাতনামা ৪/৫জনকে আসামী করে টেকনাফ মডেল থানায় ১টি অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
১৪মে সায়েম সিকদারের ছোট ভাই এবং হ্নীলা পূর্ব পানখালীর মৃত মোহাম্মদ সিকদারের পুত্র মামুনুর রশিদ সিকদার (৩৫) বাদী হয়ে টেকনাফ মডেল থানার জি/আর মামলা নং-৩২৯/২৫ইং দায়ের করেন। এতে হ্নীলা পশ্চিম সিকদার পাড়ার ১. ছৈয়দ আহম্মদ প্রকাশ ছৈয়তুর পুত্র আজিজুল বশির মোহাম্মদ (২৪), ২. মৃত নুর মোহাম্মদের পুত্র মোহাম্মদ নূর (২৮), ৩. হাজী গুরা মিয়ার পুত্র মোহাম্মদ আরিফ (২২), ৪. রশিদ আহম্মদ প্রকাশ রশিদ কুলুর পুত্র জিয়াউল বশির ইলহাম (২৫), ৫. মৃত মমতাজ আহমদের পুত্র আব্দুস সালাম (২৯), ৬. মৃত আবু বক্করের পুত্র আব্দুর রহিম কাজু (৩৫), ৭. আলী আহমদের পুত্র মোহাম্মদ ইলিয়াছ (৩৫), ৮. পূর্ব পানখালীর মৃত রশিদ আহমদের পুত্র শফিকুল ইসলাম বাপ্পি (৩০) এবং মোহাম্মদ ইসমাঈলের পুত্র মোহাম্মদ খালেদ (২৪) কে নামীয় এবং অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জনকে আসামী করা হয়েছে।
আরজিতে বাদী জানান,উপরোক্ত আসামীদের চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি করতে না দেওয়ায় ২নং বিবাদী ও ৭নং বিবাদীদ্বয়ের সাথে গত ১২মে সকাল সাড়ে ১০টায় ছালামত উল্লাহর রাইচ মিলের সামনে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক বিতরণকৃত পানির ট্যাংক নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির জের ধরে এক পর্যায়ে মারামারি করিতে আসলে এলাকার স্থানীয় গণ্যমান্যব্যক্তিগণ বিষয়টি অবগত হয়ে উপরোক্ত ২নং বিবাদী ও ৭নং বিবাদীদ্বয়কে বুঝিয়ে পাঠিয়ে দেয়। এরপর রাত পৌনে ১১টারদিকে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউপিস্থ পূর্ব পানখালী তথা হোয়াকিয়া পাড়ার মোহাম্মদ সিকদারের বাড়ির সামনে সকালের কথা কাটাকাটির জেরধরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে উপরোক্ত বিবাদীগণ বিনা কারণে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র জি-৪ রাইফেল দ্বারা আমিসহ উপরোক্ত সাক্ষীগণ দের উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়তে থাকে। তখন আমরা দৌড়াঁইয়া পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা কালে আমাদের পিছনে পিছনে গুলি ছুঁড়তে থাকে। আমরা এক পর্যায়ে অন্য জায়গায় লুকায়িত হইলে অন্য বাকি সব বিবাদীগণ আমাদের আঘাত করার উদ্দেশ্যে ইট, পাটকেল মারতে থাকে। আমরা লুকানো অবস্থায় টেকনাফ থানা পুলিশ এ ডিউটি অফিসারকে অবগত করলে একটি পুলিশের চৌকস টিম ঘটনাস্থলে এসে বাদীসহ সাক্ষীগণদের উদ্ধার করে। পরে বাড়িতে এসে দেখতে পাই যে, বাড়ির দরজা, ঘেরা, গ্লাস সব ভাংচুর করে। যা ৩০হাজার টাকার সম্পদের ক্ষতি সাধন করে। এরপর ৩য় ঘটনাস্থলের বিভিন্ন স্থানে গুলির খোসা মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে টেকনাফ মডেল থানার পুলিশের চৌকস টিমের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) কামাল হোসেনকে বিষয়টি অবগত করলে তিনি জব্দ তালিকা মূলে জব্দ করেন। এরপর থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করলে আজ মামলা হিসেবে নথিভূক্ত করেন থানা পুলিশ।
এই বিষয়ে টেকনাফের এনসিপি সংগঠক সায়েম সিকদার জানান,যারা আমার বাড়িতে স্বশস্ত্র হামলা চালিয়েছে তাদের অব্যাহত হুমকি-ধমকিতে আমার পরিবার-পরিজন নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। এসব অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিকট জোর দাবী জানাচ্ছি।