কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের পিছনের পাহাড় থেকে অপহৃত ৩ কিশোর উদ্ধার: র্যাব-১৫ এর অভিযানে এক অপহরণকারী গ্রেফতার
কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের পিছনের পাহাড় থেকে অপহৃত তিন কিশোরকে উদ্ধার এবং এক অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৫। অভিযানে অপহৃতদের হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয় এবং অপহরণে জড়িত একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্যকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা সম্ভব হয়।
র্যাব-১৫ এর প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, মোঃ সাইদুল ইসলাম জিহাদ (১৬), মেজবাহ উদ্দিন (১৪) এবং ওবাদুল ইসলাম মুন্না (১৫) নামের তিন কিশোর ১৫ জুলাই ২০২৫ তারিখে হানিফ পরিবহনের একটি বাসে করে কক্সবাজার বেড়াতে আসে। রাত ৮টার দিকে কক্সবাজার বাস টার্মিনাল থেকে কলাতলী বীচে যাওয়ার জন্য একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় উঠলে, পূর্বপরিকল্পিতভাবে ৪ নম্বর পলাতক আসামি তারেক ও আরও চার-পাঁচজন সহযোগী মিলে তাদের একটি অজ্ঞাত পাহাড়ি এলাকায় নিয়ে যায়।
সেখানে কিশোরদের হাত-পা বেঁধে শারীরিক নির্যাতন করা হয় এবং পরিবারের কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। এ ঘটনায় মেজবাহ উদ্দিনের মা কর্ণফুলী থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন এবং পরদিন র্যাব-১৫ এর অধিনায়কের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর র্যাব-১৫, সিপিএসসি ক্যাম্পের একটি বিশেষ আভিযানিক দল তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় তদন্ত শুরু করে এবং কক্সবাজার শহর ও আশপাশ এলাকায় একাধিক অভিযান পরিচালনা করে। এরই ধারাবাহিকতায়, ১৭ জুলাই রাতে সদর মডেল থানাধীন ঝিলংজা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ফুটখালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের পিছনের একটি পাহাড় থেকে তিন ভিকটিমকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
অভিযানের সময় অপহরণকারী দলের সদস্যরা পালানোর চেষ্টা করলে মোঃ রিয়াদ (১৯) নামের একজনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়।