, মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ঝিনাইদহে ইসলাম ধর্ম অবমাননাকর পোস্ট দেওয়াই গুরুজি জ্যোতিষ সাঈদী নামে একজন গ্রেফতার গোয়ালন্দ উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য আবুল গ্রেফতার। গোয়ালন্দে ফাঁদে ফেলে নারীদের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলা খবিরের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন যশোরের দক্ষিণবঙ্গের বিখ্যাত আম বাজার খ্যাত : বেলতলায় আম বেচাকেনা শুরু নিকলীতে কৃষি জমির টপসয়েল কাটায় দুই লাখ টাকা জরিমানা টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে যুবককে কুপিয়ে হত্যা টেকনাফ যেন ইয়াবার মেলা সীমান্তে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের সময় নারী শিশু সহ আটক ৪৪ বরাদ্দের দুই বছর পরও চালু হয়নি ট্রেন, নোয়াখালীতে প্রতিবাদ মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও যৌথ অভিযান পরিচালনা

পদ্মায় মাথাবিহীন লাশের ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেফতার, আদালতে স্বীকারোক্তি

  • প্রকাশের সময় : ০৫:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
  • ১৪ পড়া হয়েছে

পদ্মায় মাথাবিহীন লাশের ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেফতার, আদালতে স্বীকারোক্তি
রাজবাড়ী গোয়ালন্দে পদ্মা নদী থেকে মাথাবিহীন যুবকের লাশ উদ্ধারের একদিন পর গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মামলা করেছেন নিখোঁজ জিহাদ সরদারের বাবা শহিদ সরদার। গত সোমবার তিনজনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা করেন তিনি। পুলিশ মামলার এজাহারভুক্ত ও স্বীকারোক্তি মূলক প্রধান ১ নম্বর আসামি সুমানা পারভীন সেতু (২৪) কে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃত সেতু গোয়ালন্দ উপজেলার ছোটভাকলা ইউপির কাসরন্দ গ্রামের মৃত সাইফুর রহমানের মেয়ে। তবে ঘটনার চার দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ তরুণের কাটা মাথা খুঁজে পায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, রবিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে গোয়ালন্দের ছোটভাকলা ইউনিয়নের চর বরাট এলাকার পদ্মা নদীর ক্যানাল থেকে গোয়ালন্দ থানা ও দৌলতদিয়া নৌপুলিশ মাথা বিহীন যুবকের লাশ উদ্ধার করে। লিঙ্গ কাটা, পেট চেড়া নাড়িভুড়ি বের হওয়া কোমড়ে রশি বাধা এবং লোহার গ্রাফি দিয়ে লাশটি ডুবানো ছিল। সুরতহাল ও ময়না তদন্ত শেষে ওইদিন সন্ধ্যায় জিহাদ সরদারের বাড়িতে লাশ দাফন করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে কাউকে না জানিয়ে ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরেন জিহাদ। রাত ৮টার দিকে বাড়িতে খাওয়া শেষ করে চাচাতো ভাই প্রতিবেশী বাবলু সরদারের ছেলে সোহাগ সরদারের সঙ্গে বেরিয়ে আর ফিরেনি। পরদিন ২৫ এপ্রিল গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন জিহাদের বাবা শহিদ সরদার।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) জিহাদের বাবা শহিদ সরদার বাদী হয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মামলায় স্থানীয় খলিলের স্ত্রী সেতু (২৪), হারেজ এর ছেলে হৃদয় (২৪) এবং চাচাতো ভাই বাবলু সরদারের ছেলে সোহাগ সরদারকে (২৭) কে আসামি করে একটি হত্যা মামলা (নং-৪০) দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযুক্ত প্রধান ১ নম্বর আসামি সেতুকে গ্রেফতার করেছে এবং তিনি ঘটনার সহিত জড়িত থাকার বিষয়ে আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারা মোতাবেক নিজেকে দোষী স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী প্রদান করেছেন।

গোয়ালন্দ ঘাট থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম বলেন, মাথাবিহীন যুবকের লাশ নিখোঁজ জিহাদ সরদারের বলে পরিবার শনাক্ত করলেও পুলিশ নিশ্চিত হতে ডিএনএ’র নমুনা ঢাকায় পাঠিয়েছে। জিহাদের বাবা শহিদ সরদার বাদি হয়ে তিনজনকে অভিযুক্ত করে গত সোমবার থানায় হত্যা মামলা করেছেন। মামলটি দৌলতদিয়া নৌ ফাঁড়ি পুলিশ তদন্তের কাজ করছেন। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত এক নম্বর আসামি সেতুকে গত মঙ্গলবার তার বাবার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে বুধবারে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এ মামলায় অপর ৩ নম্বর আসামী সোহাগকেও গত সোমবারে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে জিহাদ বিবাহবর্হিভুত সম্পর্কে বলির শিকার হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

ঝিনাইদহে ইসলাম ধর্ম অবমাননাকর পোস্ট দেওয়াই গুরুজি জ্যোতিষ সাঈদী নামে একজন গ্রেফতার

পদ্মায় মাথাবিহীন লাশের ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেফতার, আদালতে স্বীকারোক্তি

প্রকাশের সময় : ০৫:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

পদ্মায় মাথাবিহীন লাশের ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেফতার, আদালতে স্বীকারোক্তি
রাজবাড়ী গোয়ালন্দে পদ্মা নদী থেকে মাথাবিহীন যুবকের লাশ উদ্ধারের একদিন পর গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মামলা করেছেন নিখোঁজ জিহাদ সরদারের বাবা শহিদ সরদার। গত সোমবার তিনজনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা করেন তিনি। পুলিশ মামলার এজাহারভুক্ত ও স্বীকারোক্তি মূলক প্রধান ১ নম্বর আসামি সুমানা পারভীন সেতু (২৪) কে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃত সেতু গোয়ালন্দ উপজেলার ছোটভাকলা ইউপির কাসরন্দ গ্রামের মৃত সাইফুর রহমানের মেয়ে। তবে ঘটনার চার দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ তরুণের কাটা মাথা খুঁজে পায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, রবিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে গোয়ালন্দের ছোটভাকলা ইউনিয়নের চর বরাট এলাকার পদ্মা নদীর ক্যানাল থেকে গোয়ালন্দ থানা ও দৌলতদিয়া নৌপুলিশ মাথা বিহীন যুবকের লাশ উদ্ধার করে। লিঙ্গ কাটা, পেট চেড়া নাড়িভুড়ি বের হওয়া কোমড়ে রশি বাধা এবং লোহার গ্রাফি দিয়ে লাশটি ডুবানো ছিল। সুরতহাল ও ময়না তদন্ত শেষে ওইদিন সন্ধ্যায় জিহাদ সরদারের বাড়িতে লাশ দাফন করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে কাউকে না জানিয়ে ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরেন জিহাদ। রাত ৮টার দিকে বাড়িতে খাওয়া শেষ করে চাচাতো ভাই প্রতিবেশী বাবলু সরদারের ছেলে সোহাগ সরদারের সঙ্গে বেরিয়ে আর ফিরেনি। পরদিন ২৫ এপ্রিল গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন জিহাদের বাবা শহিদ সরদার।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) জিহাদের বাবা শহিদ সরদার বাদী হয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মামলায় স্থানীয় খলিলের স্ত্রী সেতু (২৪), হারেজ এর ছেলে হৃদয় (২৪) এবং চাচাতো ভাই বাবলু সরদারের ছেলে সোহাগ সরদারকে (২৭) কে আসামি করে একটি হত্যা মামলা (নং-৪০) দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযুক্ত প্রধান ১ নম্বর আসামি সেতুকে গ্রেফতার করেছে এবং তিনি ঘটনার সহিত জড়িত থাকার বিষয়ে আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারা মোতাবেক নিজেকে দোষী স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী প্রদান করেছেন।

গোয়ালন্দ ঘাট থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম বলেন, মাথাবিহীন যুবকের লাশ নিখোঁজ জিহাদ সরদারের বলে পরিবার শনাক্ত করলেও পুলিশ নিশ্চিত হতে ডিএনএ’র নমুনা ঢাকায় পাঠিয়েছে। জিহাদের বাবা শহিদ সরদার বাদি হয়ে তিনজনকে অভিযুক্ত করে গত সোমবার থানায় হত্যা মামলা করেছেন। মামলটি দৌলতদিয়া নৌ ফাঁড়ি পুলিশ তদন্তের কাজ করছেন। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত এক নম্বর আসামি সেতুকে গত মঙ্গলবার তার বাবার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে বুধবারে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এ মামলায় অপর ৩ নম্বর আসামী সোহাগকেও গত সোমবারে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে জিহাদ বিবাহবর্হিভুত সম্পর্কে বলির শিকার হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।