, রবিবার, ১০ আগস্ট ২০২৫, ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ফুলবাড়ীতে দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা প্রত্যাহারের পাঁচ দফা দাবিতে উত্তাল ছাত্র-জনতা গোয়ালন্দে হোসাইন ইয়ুথ ফাউন্ডেশন আয়োজিত প্রীতি ফুটবল ম‍্যাচে পাবনা নগরবাড়ী জয়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-আসনের সীমানা পুর্নবিন্যাসের প্রতিবাদে বিজয়নগরে জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ মিছিল- মহাসড়ক অবরোধ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় বাঞ্ছারামপুরে আলোচিত শাহিনুর হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন আদালত চত্বরে ডিম নিক্ষেপের ঘটনায় ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মী আটক সরাইলে ছিনতাইকারীদের হামলায় ব্যবসায়ী নিহত আলীকদমে পিআইও’র বিরুদ্ধে বিল আটকে রাখার অভিযোগে চেয়ারম্যান-মেম্বারদের ঘেরাও কর্মসূচি জাতীয় মাদকবিরোধী অভিযানে চকরিয়ায় ১০ জন গ্রেপ্তার, মোবাইল কোর্টে কারাদণ্ড টেকনাফে ভয়ংকর অস্ত্রভাণ্ডারসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী ‘শফি ডাকাত’ গ্রেপ্তার

নোয়াখালীতে বিয়ের আসর থেকে বরসহ আটক-২

  • প্রকাশের সময় : ০৫:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫
  • ৬৩ পড়া হয়েছে

নোয়াখালীতে বিয়ের আসর থেকে বরসহ আটক-২

নোয়াখালী মাইজদীতে বিয়ের আসর থেকে বরসহ দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে পুলিশের দাবি, তাদেরকে আটক নয়, উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ সময় মারামারিতে বর-কনে পক্ষের অন্তত ৫জন আহত হয়েছে।

শুক্রবার (১৬ মে) বিকেলে জেলা শহর মাইজদীর মেহেরান ডাইন রেস্টুরেন্টে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত বরের নাম ইকবাল হোসেন (৩৬)। অপরদিকে, কনে অনার্স পড়ুয়া। কয়েক বছর আগে তার বাবা মারা যায়। তার বাড়ি জেলার কবিরহাটে। মামারা এই বিয়ের আয়োজন করে। বর একজন ড্রাগ অফিসে ড্রাগ সুপার। তিনি নোয়াখালীতে চাকরি করেন। তার গ্রামের বাড়ি ফেনীর দাগনভূঞাতে।

কনের মামা মো. হিরণ অভিযোগ করে বলেন,গত শুক্রবার ৯ মে আমার ভাগ্নির বিয়ের এনগেজমেন্ট হয় পাশ্ববর্তী ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার বাসিন্দা ইকবাল হোসেনের সাথে। এরপর বৃহস্পতিবার ১৫ মে দিবাগত রাতে বর পক্ষ কনের বাড়িতে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে যোগ দেয়। পরের দিন শুক্রবার ১১ লক্ষ এক টাকা দেনমোহরে বিয়ের দিন ধার্য ছিল। কিন্ত বিয়ের দিন দুপুর ১২টার দিকে বর ফোন করে জানায় তিনি আসবেন না। কনে পক্ষ না আসার কারণ জানতে চায়। ওই সময় বর ৫০ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে। এরপর বিয়ের দিন ছেলে বর সেজে না এসে সাধারণ পোশাকে রেস্টুরেন্টে এসে একটি কক্ষে আত্মগোপনে থাকে। সেখান থেকে বর বলে তাড়াতাড়ি আমার লোকজনকে খাবার দিয়ে দেন, না হলে সমস্যা হবে। এরপর বর আস্তে পালিয়ে যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কনে পক্ষ ৩০০জন মানুষের জন্য মেহরান ডাইনে খাবারের আয়োজন করে। বর পক্ষের লোকজনকে খাবার দেওয়া হয়। একপর্যায়ে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করার জন্য প্রস্তুতি নিলে বরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে বরকে একটি রুমে পাওয়া যায়। বর এসে কনের মামাদের কাছে ৫০ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করলে বর উঠে এসে পালিয়ে যাই। বিয়ে করবে না বলে জানিয়ে দেই। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাগবিতন্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে বরের পক্ষের লোকজন এসে কনের লোকজনের ওপর হামলা করে। একপর্যায়ে কনে পক্ষের লোকজন ও স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে বরসহ দুজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

বরের ভাই সোহরাব হোসেন অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, মেয়েদের পারিবারিক একটি বিষয় নিয়ে আমার ভাই একটি রুমে গিয়েছিল। তিনি পালিয়ে যায়নি এবং ৫০ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করেনি। এখন তারা আমাদের বিরুদ্ধে উল্টো অভিযোগ দিচ্ছে। আমার ভাই একজন ড্রাগ সুপার।

সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল ইসলাম বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিরোধ দেখা দেয়। এনিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথা হচ্ছে। তবে যৌতুক দাবির অভিযোগ সত্য না। জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ সংবাদ পেয়ে বরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।

ফুলবাড়ীতে দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা প্রত্যাহারের পাঁচ দফা দাবিতে উত্তাল ছাত্র-জনতা

নোয়াখালীতে বিয়ের আসর থেকে বরসহ আটক-২

প্রকাশের সময় : ০৫:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫

নোয়াখালীতে বিয়ের আসর থেকে বরসহ আটক-২

নোয়াখালী মাইজদীতে বিয়ের আসর থেকে বরসহ দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে পুলিশের দাবি, তাদেরকে আটক নয়, উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ সময় মারামারিতে বর-কনে পক্ষের অন্তত ৫জন আহত হয়েছে।

শুক্রবার (১৬ মে) বিকেলে জেলা শহর মাইজদীর মেহেরান ডাইন রেস্টুরেন্টে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত বরের নাম ইকবাল হোসেন (৩৬)। অপরদিকে, কনে অনার্স পড়ুয়া। কয়েক বছর আগে তার বাবা মারা যায়। তার বাড়ি জেলার কবিরহাটে। মামারা এই বিয়ের আয়োজন করে। বর একজন ড্রাগ অফিসে ড্রাগ সুপার। তিনি নোয়াখালীতে চাকরি করেন। তার গ্রামের বাড়ি ফেনীর দাগনভূঞাতে।

কনের মামা মো. হিরণ অভিযোগ করে বলেন,গত শুক্রবার ৯ মে আমার ভাগ্নির বিয়ের এনগেজমেন্ট হয় পাশ্ববর্তী ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার বাসিন্দা ইকবাল হোসেনের সাথে। এরপর বৃহস্পতিবার ১৫ মে দিবাগত রাতে বর পক্ষ কনের বাড়িতে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে যোগ দেয়। পরের দিন শুক্রবার ১১ লক্ষ এক টাকা দেনমোহরে বিয়ের দিন ধার্য ছিল। কিন্ত বিয়ের দিন দুপুর ১২টার দিকে বর ফোন করে জানায় তিনি আসবেন না। কনে পক্ষ না আসার কারণ জানতে চায়। ওই সময় বর ৫০ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে। এরপর বিয়ের দিন ছেলে বর সেজে না এসে সাধারণ পোশাকে রেস্টুরেন্টে এসে একটি কক্ষে আত্মগোপনে থাকে। সেখান থেকে বর বলে তাড়াতাড়ি আমার লোকজনকে খাবার দিয়ে দেন, না হলে সমস্যা হবে। এরপর বর আস্তে পালিয়ে যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কনে পক্ষ ৩০০জন মানুষের জন্য মেহরান ডাইনে খাবারের আয়োজন করে। বর পক্ষের লোকজনকে খাবার দেওয়া হয়। একপর্যায়ে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করার জন্য প্রস্তুতি নিলে বরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে বরকে একটি রুমে পাওয়া যায়। বর এসে কনের মামাদের কাছে ৫০ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করলে বর উঠে এসে পালিয়ে যাই। বিয়ে করবে না বলে জানিয়ে দেই। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাগবিতন্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে বরের পক্ষের লোকজন এসে কনের লোকজনের ওপর হামলা করে। একপর্যায়ে কনে পক্ষের লোকজন ও স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে বরসহ দুজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

বরের ভাই সোহরাব হোসেন অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, মেয়েদের পারিবারিক একটি বিষয় নিয়ে আমার ভাই একটি রুমে গিয়েছিল। তিনি পালিয়ে যায়নি এবং ৫০ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করেনি। এখন তারা আমাদের বিরুদ্ধে উল্টো অভিযোগ দিচ্ছে। আমার ভাই একজন ড্রাগ সুপার।

সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল ইসলাম বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিরোধ দেখা দেয়। এনিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথা হচ্ছে। তবে যৌতুক দাবির অভিযোগ সত্য না। জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ সংবাদ পেয়ে বরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।