, মঙ্গলবার, ০৫ আগস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ফুলবাড়ীতে দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা প্রত্যাহারের পাঁচ দফা দাবিতে উত্তাল ছাত্র-জনতা গোয়ালন্দে হোসাইন ইয়ুথ ফাউন্ডেশন আয়োজিত প্রীতি ফুটবল ম‍্যাচে পাবনা নগরবাড়ী জয়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-আসনের সীমানা পুর্নবিন্যাসের প্রতিবাদে বিজয়নগরে জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ মিছিল- মহাসড়ক অবরোধ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় বাঞ্ছারামপুরে আলোচিত শাহিনুর হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন আদালত চত্বরে ডিম নিক্ষেপের ঘটনায় ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মী আটক সরাইলে ছিনতাইকারীদের হামলায় ব্যবসায়ী নিহত আলীকদমে পিআইও’র বিরুদ্ধে বিল আটকে রাখার অভিযোগে চেয়ারম্যান-মেম্বারদের ঘেরাও কর্মসূচি জাতীয় মাদকবিরোধী অভিযানে চকরিয়ায় ১০ জন গ্রেপ্তার, মোবাইল কোর্টে কারাদণ্ড টেকনাফে ভয়ংকর অস্ত্রভাণ্ডারসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী ‘শফি ডাকাত’ গ্রেপ্তার

নড়াইলে কালিয়ায় সংঘর্ষে গুলি, নিহত ১, আহত ১০

নড়াইলের কালিয়া উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের সিলিমপুর গ্রামে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক ব্যক্তি মারা গেছেন।
আজ শনিবার (১৫ মার্চ) সকালে রাজনৈতিক বিরোধের জেরে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সিলিমপুর গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতা-সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এরই ধারাবাহিকতায় ১৪ মার্চ বিকেলে গাজিরহাট বাজারে বিএনপি সমর্থিত জনি মোল্লা গ্রুপের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আব্দুর রউফ মোল্লার অনুসারীদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে জনি মোল্লা গ্রুপের লোকজন আব্দুর রউফ মোল্লাকে বাজার থেকে তাড়িয়ে দেয়।পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠলে ১৫ মার্চ সকালে ঠান্ডু মোল্লার নেতৃত্বে একদল লোক বিএনপি নেতা জনি মোল্লার বাড়িতে হামলা চালায়। এতে জনি মোল্লা, আব্দুল কাদের মোল্লা (৬০), আশিক (২০) ও পনি (৩০)সহ ৮ জন আহত হন। স্থানীয়রা আহতদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানে ভর্তি করেন। সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তাদের ওপরও হামলা হয়। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন এবং তাদের কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।এদিকে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে বিএনপি সমর্থিত সিরাজ মোল্লার বাড়ি থেকে একটি ওয়ান সুটারগান ও ২০ রাউন্ড গুলিসহ দু’জনকে আটক করেছে। সংঘর্ষে আহত হাসিম মোল্লা (৩৮) খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার মৃত্যুর পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।কালিয়া থানার ওসি মোঃ রাশেদুল ইসলাম জানান, বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, “ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।স্থানীয়দের মতে, রাজনৈতিক অবস্থান পরিবর্তন ও পুরনো বিরোধের জেরেই এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। জনি মোল্লা ও তার সমর্থকরা একসময় আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও বর্তমানে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ায় বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। এখনও গ্রামে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

ফুলবাড়ীতে দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা প্রত্যাহারের পাঁচ দফা দাবিতে উত্তাল ছাত্র-জনতা

নড়াইলে কালিয়ায় সংঘর্ষে গুলি, নিহত ১, আহত ১০

প্রকাশের সময় : ১১:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫

নড়াইলের কালিয়া উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের সিলিমপুর গ্রামে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক ব্যক্তি মারা গেছেন।
আজ শনিবার (১৫ মার্চ) সকালে রাজনৈতিক বিরোধের জেরে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সিলিমপুর গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতা-সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এরই ধারাবাহিকতায় ১৪ মার্চ বিকেলে গাজিরহাট বাজারে বিএনপি সমর্থিত জনি মোল্লা গ্রুপের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আব্দুর রউফ মোল্লার অনুসারীদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে জনি মোল্লা গ্রুপের লোকজন আব্দুর রউফ মোল্লাকে বাজার থেকে তাড়িয়ে দেয়।পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠলে ১৫ মার্চ সকালে ঠান্ডু মোল্লার নেতৃত্বে একদল লোক বিএনপি নেতা জনি মোল্লার বাড়িতে হামলা চালায়। এতে জনি মোল্লা, আব্দুল কাদের মোল্লা (৬০), আশিক (২০) ও পনি (৩০)সহ ৮ জন আহত হন। স্থানীয়রা আহতদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানে ভর্তি করেন। সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তাদের ওপরও হামলা হয়। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন এবং তাদের কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।এদিকে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে বিএনপি সমর্থিত সিরাজ মোল্লার বাড়ি থেকে একটি ওয়ান সুটারগান ও ২০ রাউন্ড গুলিসহ দু’জনকে আটক করেছে। সংঘর্ষে আহত হাসিম মোল্লা (৩৮) খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার মৃত্যুর পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।কালিয়া থানার ওসি মোঃ রাশেদুল ইসলাম জানান, বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, “ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।স্থানীয়দের মতে, রাজনৈতিক অবস্থান পরিবর্তন ও পুরনো বিরোধের জেরেই এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। জনি মোল্লা ও তার সমর্থকরা একসময় আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও বর্তমানে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ায় বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। এখনও গ্রামে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।