
ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে উন্নয়ন প্রকল্পে অনিয়মের ছাপ: দুদকের নজরে প্রায় ৪ কোটি টাকার অনিয়ম
চট্টগ্রাম দক্ষিণ বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান
কক্সবাজার চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা সাফারি পার্কের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ঘিরে আবারও ওঠেছে অনিয়মের অভিযোগ। প্রায় ৪ কোটি টাকার উন্নয়ন ব্যয়ের বিপরীতে প্রকল্প বাস্তবায়নে ঘাটতি, কাগজপত্রের স্বচ্ছতা ও নির্ধারিত সময়ে কাজ সম্পন্ন না হওয়াসহ নানা বিষয়ে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কক্সবাজার জেলা শাখা।
দুদকের কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাখাওয়াত হোসেন জানান, “পত্রিকায় প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদনের সূত্র ধরে সরেজমিনে আমরা ছয়টি উন্নয়ন প্রকল্প ঘুরে দেখেছি। সেখানে বাস্তবে ৩৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে মনে হয়েছে। অথচ ওয়ার্ক অর্ডার ছাড়াও অন্য কোনো প্রামাণ্য নথি আমাদের দেখাতে পারেননি কর্তৃপক্ষ। বাকি ডকুমেন্টস দুই কার্যদিবসের মধ্যে চট্টগ্রাম অফিস থেকে সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করে আমরা কমিশনে প্রতিবেদন জমা দেব।”
একাধিক সূত্রে জানা যায়, প্রকল্পগুলোর কাজ ৩০ জুনের মধ্যে শেষ করার শর্ত থাকলেও বেশিরভাগ প্রকল্পে কাজ শুরুই হয়নি। এমনকি কাজ শুরুর আগেই সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের অনুকূলে পুরো বিলের চেক ইস্যু করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
চাঞ্চল্যকর বিষয় হলো, এসব প্রকল্পের কার্যাদেশ ১ জুন ইস্যু করা হলেও ১৬ জুনেই অতিরিক্ত ভেরিয়েশন কার্যাদেশ ইস্যু করেন প্রকল্প পরিচালক আবু নাছের মোহাম্মদ ইয়াসিন নেওয়াজ। এই ভেরিয়েশনের মাধ্যমে ৩৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ দেওয়া হয়, যা প্রকল্প বাস্তবায়নের আগেই বিলীন হওয়ার প্রশ্ন
এর আগে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শুরুতে আহ্বানকৃত ১১টি প্রকল্পের টেন্ডারে ব্যাপক জালিয়াতির অভিযোগ তুলে মেসার্স এম আলী এন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স রাজীব ট্রেডার্স পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে।