, বৃহস্পতিবার, ০৭ আগস্ট ২০২৫, ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ফুলবাড়ীতে দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা প্রত্যাহারের পাঁচ দফা দাবিতে উত্তাল ছাত্র-জনতা গোয়ালন্দে হোসাইন ইয়ুথ ফাউন্ডেশন আয়োজিত প্রীতি ফুটবল ম‍্যাচে পাবনা নগরবাড়ী জয়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-আসনের সীমানা পুর্নবিন্যাসের প্রতিবাদে বিজয়নগরে জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ মিছিল- মহাসড়ক অবরোধ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় বাঞ্ছারামপুরে আলোচিত শাহিনুর হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন আদালত চত্বরে ডিম নিক্ষেপের ঘটনায় ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মী আটক সরাইলে ছিনতাইকারীদের হামলায় ব্যবসায়ী নিহত আলীকদমে পিআইও’র বিরুদ্ধে বিল আটকে রাখার অভিযোগে চেয়ারম্যান-মেম্বারদের ঘেরাও কর্মসূচি জাতীয় মাদকবিরোধী অভিযানে চকরিয়ায় ১০ জন গ্রেপ্তার, মোবাইল কোর্টে কারাদণ্ড টেকনাফে ভয়ংকর অস্ত্রভাণ্ডারসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী ‘শফি ডাকাত’ গ্রেপ্তার

ঝিনাইদহে পরকীয়ার জেরে স্বামী হত্যার দায়ে স্ত্রী ও পরকীয়া প্রেমিকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

  • প্রকাশের সময় : ০৩:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫
  • ১০৫ পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহে পরকীয়ার জেরে স্বামী হত্যার দায়ে স্ত্রী ও পরকীয়া প্রেমিকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

০৩ জুলাই ২০২৫
ঝিনাইদহ হরিনাকুন্ডু উপজেলায় ভালকি গ্রামে পরকীয়ার জেরে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর জসিম হত্যা মামলায় স্ত্রী রিতা খাতুন ও পরকীয়া প্রেমিক আব্দুল মালেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝিনাইদহ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক উৎপল ভট্টাচার্য এই রায় ঘোষণা করেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী মামুনুর রশিদ এই তথ্য নিশ্চিন্ত করেছেন।
দণ্ডিত রিতা খাতুন হরিণাকুন্ডু উপজেলার কেষ্টপুর গ্রামের জয়নাল মণ্ডলের মেয়ে এবং তার প্রেমিক আব্দুল মালেক একই উপজেলার কাপাশহাটিয়া ইউনিয়নের ভালকী গ্রামের জালাল মণ্ডলের ছেলে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ১৭ নভেম্বর রিতা খাতুন ও তার প্রেমিক আব্দুল মালেক কৌশলে জসিম উদ্দিনকে বাড়ির পাশে ডেকে নিয়ে গিয়ে চেতনানাশক খাইয়ে হত্যা করেন। পরে নিহতের ভাই আব্দুর রশিদ বাদী হয়ে হরিণাকুন্ডু থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

দীর্ঘ তদন্ত শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই অনীশ মণ্ডল আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন। ২০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও প্রমাণ পর্যালোচনার পর আদালত এই রায় দেন।

রায়ে স্বামী হত্যার দায়ে অভিযুক্ত রিতা খাতুন ও তার প্রেমিক আব্দুল মালেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মামলার বাদীপক্ষে অ্যাডভোকেট রবিউল ইসলাম, অ্যাডভোকেট নেকবার ও অ্যাডভোকেট রিমা ইয়াসমিন এবং আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন ও অ্যাডভোকেট গৌতম কুমার মামলাটি পরিচালনা করেন।

রায় ঘোষণার পর মামলার বাদী আব্দুর রশিদ বলেন, ‘আসামিদের মৃত্যুদণ্ড হলে আমরা আরও সন্তুষ্ট হতাম। আমরা অধিকতর শাস্তির দাবিতে উচ্চ আদালতে আপিল করব।’

ফুলবাড়ীতে দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা প্রত্যাহারের পাঁচ দফা দাবিতে উত্তাল ছাত্র-জনতা

ঝিনাইদহে পরকীয়ার জেরে স্বামী হত্যার দায়ে স্ত্রী ও পরকীয়া প্রেমিকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

প্রকাশের সময় : ০৩:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫

ঝিনাইদহে পরকীয়ার জেরে স্বামী হত্যার দায়ে স্ত্রী ও পরকীয়া প্রেমিকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

০৩ জুলাই ২০২৫
ঝিনাইদহ হরিনাকুন্ডু উপজেলায় ভালকি গ্রামে পরকীয়ার জেরে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর জসিম হত্যা মামলায় স্ত্রী রিতা খাতুন ও পরকীয়া প্রেমিক আব্দুল মালেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝিনাইদহ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক উৎপল ভট্টাচার্য এই রায় ঘোষণা করেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী মামুনুর রশিদ এই তথ্য নিশ্চিন্ত করেছেন।
দণ্ডিত রিতা খাতুন হরিণাকুন্ডু উপজেলার কেষ্টপুর গ্রামের জয়নাল মণ্ডলের মেয়ে এবং তার প্রেমিক আব্দুল মালেক একই উপজেলার কাপাশহাটিয়া ইউনিয়নের ভালকী গ্রামের জালাল মণ্ডলের ছেলে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ১৭ নভেম্বর রিতা খাতুন ও তার প্রেমিক আব্দুল মালেক কৌশলে জসিম উদ্দিনকে বাড়ির পাশে ডেকে নিয়ে গিয়ে চেতনানাশক খাইয়ে হত্যা করেন। পরে নিহতের ভাই আব্দুর রশিদ বাদী হয়ে হরিণাকুন্ডু থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

দীর্ঘ তদন্ত শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই অনীশ মণ্ডল আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন। ২০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও প্রমাণ পর্যালোচনার পর আদালত এই রায় দেন।

রায়ে স্বামী হত্যার দায়ে অভিযুক্ত রিতা খাতুন ও তার প্রেমিক আব্দুল মালেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মামলার বাদীপক্ষে অ্যাডভোকেট রবিউল ইসলাম, অ্যাডভোকেট নেকবার ও অ্যাডভোকেট রিমা ইয়াসমিন এবং আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন ও অ্যাডভোকেট গৌতম কুমার মামলাটি পরিচালনা করেন।

রায় ঘোষণার পর মামলার বাদী আব্দুর রশিদ বলেন, ‘আসামিদের মৃত্যুদণ্ড হলে আমরা আরও সন্তুষ্ট হতাম। আমরা অধিকতর শাস্তির দাবিতে উচ্চ আদালতে আপিল করব।’