
জামিনে কারামুক্ত চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী, মোটর শোভাযাত্রা সহকারে বরণ:গ্রামে আনন্দ-উল্লাস
উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম.গফুর উদ্দিন চৌধুরী জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান।
দীর্ঘ ২৩ দিন পর চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিনকে মুক্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাঁর কর্মী-সমর্থক ও ইউনিয়নবাসীর মধ্যে ব্যাপক আনন্দ উচ্ছ্বাস দেখা গেছে। মুক্তির খবর ছড়িয়ে পড়তেই উখিয়ার বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় লোকজন মিষ্টি বিতরণ করেন। নারী-পুরুষ অনেকে বাড়ির উঠোনে সেজদায় পড়ে যান আল্লাহর শুকরিয়া আদায়ে।
গফুর চেয়ারম্যানের ভক্ত মোজাফফর, আনোয়ার সহ আরও অনেকেই বলেন, আমাদের গরিবের চেয়ারম্যান নির্দোষ। তার মুক্তি মানে সত্যের বিজয়। মুক্তির পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আল্লাহ যা করেন মঙ্গলের জন্য করেন। আমি সবসময় জনগণের পাশেই ছিলাম, আছি, থাকব। ইনশাআল্লাহ খুব দ্রুত জনতার কাতারে ফিরে আসছি। তিনি কর্মী-সমর্থকদের আবদার রক্ষা করতে শতাধিক মোটর শোভাযাত্রায় বাড়িতে ফেরেন বলে জানা গেছে। ভক্তরা কাছে পেয়ে অনেকেই কেঁদে দেন। রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে আলোচিত এই জনপ্রতিনিধির মুক্তির খবরে পুরো পালংখালী ইউনিয়নে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরীর গ্রেফতারকে ঘিরে এর আগে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। গত ২২ জুন তিনি ঢাকা থেকে গ্রেফতার হন। গ্রেফতারের প্রতিবাদে উখিয়া ও কক্সবাজার সহ বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন, রোজা পালন, দোয়া মাহফিল ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে তাঁর সমর্থকেরা। কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনেও অনুষ্ঠিত হয় বিক্ষোভ মিছিল।
আলোকিত উখিয়া পত্রিকার সম্পাদক ও সংবাদ বিশ্লেষক মিজানুর রশিদ মিজান জানান, এই মামলা ও গ্রেফতারের ঘটনায় সাধারণ মানুষ অনেক কষ্ট পেয়েছে। তারা বিশ্বাস করেন, গফুর চেয়ারম্যানের ওপর যা হয়েছে, তা ষড়যন্ত্রের অংশ। এখন তার জামিনে মুক্তি মানেই অন্ধকার থেকে আলোতে ফেরা।
পালংখালী ইউনিয়নের সাধারণ জনগণ দাবি করেছেন, গফুর উদ্দিন চৌধুরী একজন জনবান্ধব, পরিশ্রমী ও সৎ জনপ্রতিনিধি। তার গ্রেফতারের পর শত শত মানুষ রোজা রেখেছিলেন মুক্তির আশায়। মুক্তির পর তারা আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করেছেন।
চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিনের মুক্তির ঘটনা প্রমাণ করে, একটি জনসম্পৃক্ত নেতৃত্ব কখনো দীর্ঘদিন নিপীড়িত থাকতে পারে না। এলাকাবাসী এখন চায়, তিনি যেন দ্রুত স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরে এসে তাদের পাশে আবার আগের মতোই থাকতে পারেন।