
গোয়ালন্দে দুই পক্ষের মারামারি, আহত ৩, থানায় অভিযোগ দায়ের
রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া বাহিরচর এলাকার সাত্তার মেম্বার পাড়ায় দুই পক্ষের মারামারির ঘটনায় তিনজন আহত হয়ে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এঘটনায় থানায় ভুক্তভোগীর স্ত্রী মোছাঃ ঝর্না আক্তার (৩০) থানায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযুক্তরা হলেন, দৌলতদিয়া সাত্তার মেম্বার পাড়া এলাকার খোরশেদ এর ছেলে মো. রানা (১৯), তার ভাই মো. সোহেল (২৩), একই এলাকার শহিদ এর ছেলে মো. হৃদয় (২০) এবং মো. কাসাই শেখ (৬০)।
এজাহার ও বাদী মোছা. ঝর্না আক্তার জানান, উপরোক্ত বিবাদীগন আমার পূর্ব থেকেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমাদের সাথে বিরোধ করে আসিতেছে।
শুক্রবার ২৭ জুন সকালে ২ নং বিবাদী আমার ছেলে শাওন (১৭) কে বিবাদীদের বাড়ীর উপর থেকে একটি থাপ্পর মারে। আমার ছেলে বাড়ীতে এসে বিষয়টি আমাদের জানায়। ঝর্ণা আক্তারের স্বামী মো. মামুন শেখ বিবাদীদের বাড়ীর সামনে রাস্তার উপর গিয়ে ২ নং বিবাদীকে তার ছেলেকে থাপ্পর দেওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করে। তখন উপরোক্ত বিবাদীরা তাদের বসত বাড়ীর সামনে রাস্তার উপর গিয়ে ঝর্ণা আক্তারের স্বামীকে এলোপাথারী ভাবে মারপিট শুরু করে। ১নং বিবাদী আমার স্বামীকে ধারালো ছোল দিয়ে মাথায় কোপ দিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম সহ লোহার রড ও লাঠি শোঠা দিয়ে এলোপাথারী ভাবে দুই পা, পিটসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারপিট করিয়া নীলা ফোলা জখম করে। আমার স্বামীর ডাক চিৎকারে আমার মামা শ্বশুর মূলচাঁদ মোল্লা (৪৫) ও আমার মামী শ্বাশুরী লিপি বেগম (৩৫) দ্বয় ঠেকাতে গেলে বিবাদীরা তাদেরকেও মারপিট শুরু করে। ১ নং বিবাদী ধারালো ছোল দিয়ে আমার মামা শ্বশুরের মাথায় কোপ দিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। ৩ নং বিবাদী তাহার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে আমার মামী শ্বাশুরীকে খুন করার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করিয়া সজোরে আঘাত দিলে উক্ত আঘাত আমার মামী শ্বাশুরী ডান হাত দিয়ে ঠেকাতে গেলে হাতের কব্জিতে লেগে হাড় ভেঙে যায়। আমার স্বামী, মামী শ্বাশুরী ও মামা শ্বশুর এর ডাক চিৎকারে আমিসহ আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে বিবাদীরা আমাদের প্রাণ নাশের হুমকিসহ বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আমার স্বামী, মামী শ্বাশুরী ও মামা শ্বশুরকে উদ্ধার করে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিয়ে ভর্তি থাকি। উপায়ান্তর না দেখে প্রাণ বাঁচাতে আমি থানায় হাজির হয়ে অভিযোগ দায়ের করি।
এ ব্যাপারে গোয়ালন্দ ঘাট থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার সত্যতা জেনে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।